বন্যার পানির স্রোত আর করোনার প্রভাবে দেশের অন্যতম শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকদিন পর ঈদ হলেও শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ঘাটে যাত্রীদের চাপ নেই ঘাট এলাকায়। তবে ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় ঘাট এলাকায় পন্যাবাহী পরিবহনের চাপ রয়েছে। দু’ঘাটে আটকে পড়েছে অন্তত তিন শতাধিক পরিবহন।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানান, গত কয়েকদিন ধরে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পদ্মা নদীতে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটের লৌহজং চ্যানেলে তীব্র স্রোত আর অসংখ্য ডুবোচরের কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়াও দুটি ঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। এই ঘাট ব্যবহার করে ছোট বড় ৭টি ফেরি চলাচল করছে।
সরেজমিন বুধবার দুপুরে দেখা গেছে, ঘাট এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে পন্যাবাহী পরিবহনের চাপ। তবে যাত্রীবাহী পরিবহনের খুব একটা চাপ নেই। ব্যক্তিগত পরিবহনও কিছুটা রয়েছে। ঈদ আসন্ন হওয়ায় ঘরমুখো যাত্রীদের চাই নেই বললেই চলে।
কাঠাঁলবাড়ি ঘাটের লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান বলেন, তীব্র স্রোতের কারণে নৌযান চলাচল ব্যহত হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে করোনার কারণে যাত্রীদের চাপ এখনও বাড়েনি তবে যাত্রী চাপ বাড়লে হিমসিম
খেতে হবে। ভোগান্তিতে পড়বে যাত্রীরা। কারণ আগে ১৭টি ফেরি ও ৮৬টি লঞ্চ চলাচল করতো। এখন বৈরী পরিবেশের কারণে মাত্র ৭টি ফেরি ও ৫৬টি লঞ্চ চলাচল করছে। এ কারেণে সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থার।
মাদারীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন বলেন, এবারের ঈদের ঘরমুখো যাত্রীদের তেমন চাপ নেই। অন্যান্য ঈদের তুলনায় যাত্রী সংখ্যা খুবই কম। পারাপারের অপেক্ষায় কিছু পণ্যবাহী পরিবহন রয়েছে। তবে তীব্র স্রোত থাকায় নৌযান চলাচলা ব্যাহত হচ্ছে। যাত্রী সংখ্যা বাড়লে ভোগান্তি বাড়বে।
বিআইডব্লিউটিসির কাঠাঁলবাড়ি ঘাটের ম্যানেজার আব্দুল আলিম বলেন, এই রুটে ১৭ ফেরি থাকলেও বর্তমানে ছোট বড় ৭টি ফেরি চলাচল করছে। এছাড়াও ৫৬টি লঞ্চ ও দেড় শতাধিক স্পীডবোট চলাচল করছে। রাতে সব ধরনের নৌপরিবহন বন্ধ থাকে। তবে আজকে পর্যন্ত তুলনামূলক যাত্রী চাপ কম।